“দিরিলিস এরতুগ্রুল” একটি ঐতিহাসিক – ইসলামিক – অ্যাডভেঞ্চার টেলিভিশন ধারাবাহিক। ২০১৪ থেকে ২০১৭ টানা ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের ৬০ টিরও বেশি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই টিভি সিরিয়ালটি। ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর দিরিলিস প্রথম পর্ব মুক্তি পায়। তারপর থেকেই বিশ্ব জয়।
- গিনেস রেকর্ড
- ৫৫ ভাষায় ডাবিং
- ১৪৫ দেশে সম্প্রচার
- প্রায় ৩০০ কোটি ভিউ।
- দিরিলিস দেখে ইউরোপে কয়েকজন ইসলাম ধর্ম ও গ্রহণ করেছে।
Storyline:
This series is about the Turkish warrior Ertugrul from the 13th century, one of the most famous warriors of his time and also the father of Osman (the founder of the Ottoman Empire). He is an ambitious man who wants to bring peace and justice to his people. He is in a war with the Crusaders on one side, the Byzantines on another side and the brutally expanding Mongols who killed a lot of Turks on another side. In between this he is in a psychological war between his love and destiny.
দিরিলিস এরতুগ্রুল (Diriliş Ertuğrull) যার ইংরেজি নাম হচ্ছে Resurrection Ertuğrul যার বাংলা করলে অর্থ দাড়ায় এরতুগ্রুলের উত্থান। অর্থাৎ অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ১ম উসমানের পিতা হচ্ছেন এরতুগ্রুল গাজী। আর তার ইতিহাস নিয়েই নির্মিত হয়েছে দিরিলিস এরতুগ্রুল নামের এই টিভি সিরিয়ালটি। এই দিরিলিস কে এটম বোম বলে মন্তব্য করেছেন আমেরিকার পেন্টাগন এর এক শীর্ষ কর্মকর্তা। জনপ্রিয় তাও তুঙ্গে। দিরিলিস এমন সিরিজ পরিবার নিয়ে একসাথে উপভোগ করা যায় সুস্থ সংস্কৃতির অগ্রযাত্রা এই দিরিলিস দিয়েই শুরু হয়, এই সিরিয়ালের মূল নাম দিরিলিস এরতুগ্রুল হলেও বাংলা ভাষায় ডাবিং করে প্রথম সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশে ২০১৭ সালে একুশে টিভিতে সীমান্তের সুলতান নামে। একুশে টিভিতে দেখানো সিরিয়ালটির প্রিন্ট এতো ভালো ছিলোনা সেই সাথে এপিসোডের ব্যপ্তিও ছিল খুবই কম। তথাপি সিরিয়ালটি একুশে টেলিভিশনে সম্প্রচারের এক মাসের মাথায় টিআরপিতে ৭ নাম্বারে ওঠে আসে। এতো অপ্ল সময়ে বাংলাদেশে প্রচারিত আর কোন টিভি সিরিয়াল এতো জনপ্রিয় হয়েছে বলে জানা নেই। তথাপি একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ হটাৎ করেই বাংলাদেশে সিরিয়ালটির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। তারপর দীর্ঘ ৩ মাসের বেশি সময় ধোঁয়াশা এবং অপেক্ষার প্রহর শেষ করে স্বনামে আবার বাংলায় ডাবিং হয়ে আগের চাইতে বেশি সময় এবং সেইসাথে এইচডি প্রিন্ট নিয়ে মাছরাঙা টিভিতে প্রথম দেখানো হয় মাত্র দুই সিজন ডাবিং। এখন পর্যন্ত যারা এটা দেখেছে তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় এই সিরিজ। বাংলাদেশে অনেক মুসলমান মন্তব্য করেছে যে, দিরিলিস দেখে তাদের জীবন পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।
তুর্কি এই সিরিয়ালটি সম্পর্কে কিছু তথ্য যা, দর্শকদের সিরিয়ালটি দেখতে আগ্রহী করে তুলবে, ২০১৪ সালে থেকে সিরিয়ালটি তুর্কিতে চলার পর থেকে এখন পর্যন্ত টিআরপিতে এক নাম্বারে রয়েছে, মজার বিষয় হচ্ছে, রেটিং দাতাগণ ‘দিরিলিশ: এরতুগরুল’কে ২০১৪ মৌসুমের সবচেয়ে সফল তুর্কি টিভি সিরিয়াল হিসেবে উল্লেখ করেন। সিরিয়ালটির প্রথম পর্ব সম্প্রচারের পর এটি তুর্কি সামাজিক গণমাধ্যমে সাড়া ফেলে দেয়।
অনেককেই বলতে শোনা যায় দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত এরতুগ্রুল গাজীর উত্তরসূরিদের নিয়ে নির্মিত বিশ্ব কাঁপানো টিভি সিরিয়াল ‘সুলতান সুলেমান’ যা বর্তমানে বাংলাদেশে টিআরপিতে অনেক আগিয়ে থাকাকে পিছনে ফেলে ‘দিরিলিস এরতুগ্রুল’ অচিরেই অনেক আগিয়ে যাবে।
যাইহোক, এই সিরিয়ালে ওঠে এসেছে এরতুগরুল গাজীর অসামান্য বীরত্বপুর্ন সাহসিকতা ও অসামান্য বুদ্ধিমত্তা এবং ইহুদী-খ্রিস্টানদের করাল গ্রাস থেকে মুসলিম সাম্রাজ্যকে রক্ষা করে কিভাবে বিশ্বব্যাপী বহু সময় ধরে রাজত্ব করা উসমানীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা পায় তার প্রেক্ষাপট। এরতুগরুল ছিলেন একজন অসীম সাহসী পুরুষ। একদিন, এরতুগরুল ও তার তিন বন্ধু ইহুদী নাইটসদের হাত থেকে হালিমা খাতুন ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে। হালিমা ও তার পরিবার সেলজুক সাম্রাজ্যের এক অভিজাত পরিবারের সদস্য ছিল। কিন্তু হালিমাদের আশ্রয় দেয়ায় বংশে নতুন সমস্যা দেখা দেয়; সেলজুক সাম্রাজ্যকে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিতে বলা হয় এবং নাইট টেম্পলারসরা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে। এ কারণে বেদুঈনরা এরতুগরুলের বাবা সুলায়মান শাহকে একজন খারাপ নেতা হিসেবে দোষ দিতে থাকে কিন্তু তিনি আশ্রিত মেহমানদের মৃত্যুর মুখে ছেড়ে দিতে নারাজ! কিন্তু তার এই ভাল মানুষির সুজুগে জ্ঞাতি ভাই কুরদগলু তার গোপন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের সুযোগ পায়। সুলায়মান দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এরতুগরুলকে নতুন আবাস অনুসন্ধানের অভিযানে পাঠান। এরতুগরুল ও তার তিন বন্ধু সুলতানের সঙ্গে চুক্তির লক্ষ্যে আলেপ্পোয় যান এবং শুরু হয় অটোম্যান সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপনের যা, পরবর্তী ছয় শতাব্দী জুড়ে অটোম্যান রাজবংশের অধীনে একটি বিশ্বময় সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল।
অনুষ্ঠানটির যথাযথ চিত্রায়নের জন্য হলিউডের এক্সপেন্ডিবলস ২, রন ইন, কোনান দ্য ব্যারব্যারিয়ানের মত চলচ্চিত্রের প্রোডাকশন টিমকে নিয়োগ করা হয়, যারা অভিনেতা, ঘোড়া ও অন্যান্য দৃশ্যের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেন।
এই অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে চিড়িয়াখানার মত করে ছোট আকারের একটি বিশেষ এলাকা প্রস্তুত করা হয়েছে যেখানে অনুষ্ঠানের দৃশ্যায়নের বিভিন্ন পশুপাখি রাখা আছে যার মধ্যে ২৫ টি শুধু ঘোড়াই রয়েছে! আর পশুপাখিগুলোর দেখভাল করার জন্যে আছেন ২৪ ঘণ্টার জন্যে নিয়োগকৃত পশুচিকিৎসক।
প্রতি পর্বে ৭ লক্ষ আমেরিকান ডলার বাজেট সম্পন্ন এই অনুষ্ঠান – শিল্প নির্দেশনার ক্ষেত্রে টেলিভিশনের ইতিহাসে একটি অন্যতম মাইলফলক।
বাংলাদেশে মাছরাঙা টিভিতে প্রথম দেখানো হয় মাত্র দুই সিজন ডাবিং এর পরের সিজন গুলো আর সম্প্রচার করে নাই। অনেকে বলেছেন টিভি মিডিয়া এসোসিয়েশন থেকে সম্প্রচার বন্ধ করতে তুখড় দাবির মুখে পরে আর সম্প্রচার করে নাই। বর্তমানে শুনা যাচ্ছে বাংলাদেশে এই সিরিজটি বাকী সিজন ডাবিং গুলো দীপ্ত টিভিতে সম্প্রচার করার আলোচনা চলামান তবে তারাও নাকি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাই তারা এই সিরিজটি বাকী সিজন ডাবিং গুলো সম্প্রচার করতেও পারেন নাও করতে পারেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এই সিরিজটি অনলাইনে বেশিদিন থাকে না সব জায়গা থেকে ডিলেট করে দেয়া হয়। তাই আমাদের কালেকশনে থাকা আপনাদের সুবিদার জন্য এই সিরিজটির সম্পূর্ণ এইখানে আপলোড করবো এইখান থেকে সরাসরি আপনারা এই সিরিজটি দেখতে পারবেন। আমাদের কালেকশনে থাকা সিজন ১ থেকে সিজন ২ বাংলা ডাবিং আর সিজন ৩ থেকে সর্বশেষ সিজন ৫ উর্দু বা হিন্ডি ডাবিং।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ দিরিলিস আরতুগ্রুল
আরতুগ্রুল গাজী ছিলেন অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম উসমানের পিতা। বলা হয়ে থাকে তিনিই অটোমান সাম্রাজ্যের ভিত প্রতিষ্ঠা করে যান। তাই তাকে এখনও মুসলিম বিশ্বে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। আরতুগ্রুল আনুমানিক (১১৯১-১১৯৮) খ্রিস্টাব্দের কোন এক সময়ে আহালাত শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-সুলেইমান শাহ, মাতা-হায়মা হাতুন।
আরতুগ্রুল গাজীকে ঐতিহাসিকরা শনাক্ত করেন প্রথম উসমানের সময়ের মুদ্রায় তার নাম দেখে। এই তথ্য ছাড়া ইতিহাসে তার কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। তার নামের শেষে গাজী উপাধিটি মুসলমান যোদ্ধাদের দেওয়া হয় যারা ইসলামের জন্য যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়ে ফিরে আসে।
আরতুগ্রুল গাজী ছিলেন কায়ি গোত্রের দলপতি। কায়ি একটি অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত যাযাবর জাতি। এদের গোত্রের প্রধানের নাম ছিল সুলাইমান শাহ। এই গোত্রের লোকেরা ছিল নিষ্ঠাবান মুসলমান। সুলাইমান শাহের নেতৃত্বগুণে তার গোত্র ছাড়াও সেখানে অবস্থানকারী লোকেরা তার নেতৃত্বের ছায়াতলে আসতে লাগল।
চেঙ্গিস খানের দস্যুতার কারণে সবাই তখন নিজের নিরাপত্তার জন্য নিজের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছিল। সুলাইমান শাহ তার জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার জন্য শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং যাতে তারা কোনভাবে ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সেই দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন। অন্যদিকে খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের পতনের ফলে সুলাইমান শাহ খুব অল্প সময়ের মাঝেই অসংখ্য যোদ্ধা ও প্রচুর পরিমাণ যুদ্ধ সামগ্রী সংগ্রহ করতে সক্ষম হন।
চেঙ্গিস খান ৬২১ হিজরিতে (১২২৪ খ্রীঃ) সেলজুক সামাজ্য আক্রমণের জন্য এক বিরাট বাহিনী প্রেরণ করেন। কালের পরিক্রমায় সেলজুক সাম্রাজ্য তখন নিভু নিভু করছে। তখন সেলজুক সাম্রাজ্যের রাজধানী কনিয়াতে সিংহাসনে ছিল সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদ সেলজুকী।
এই সময়ই সুলাইমান শাহের নিকট খবর পৌছল যে, মঙ্গোলরা আলাউদ্দিন কায়কোবাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এই খবরে তিনি মর্মাহত হলেন। মুসলমান সুলতানের জন্য তার যথেষ্ট সহানুভূতি ছিল। তাই তিনি সুলতান কায়কোবাদকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে নিজ গোত্রকে রওয়ানা হতে বলেন।
এই সময়ই ঘটে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। সেলজুক ও মঙ্গোলেরা যখন যুদ্ধ করছিল তখন সেখানে যেয়ে উপস্থিত হয় সুলাইমান শাহের ছেলে আরতুগ্রুল গাজী। আরতুগ্রুল জানেন না যে কোন পক্ষ কারা। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে দুর্বল পক্ষের হয়ে তিনি যুদ্ধ করবেন। মঙ্গোল বাহিনী ছিল দুরন্ত ও দুর্ধর্ষ। তারা সহজেই সেলজুক বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলে। সৌভাগ্যক্রমে তাই তার এই সিদ্ধান্তও তার পক্ষে আসে। তার সাথে ৪৪৪ জন যোদ্ধা নিয়ে সে সেলজুকদের পক্ষে যুদ্ধে নেমে পড়ে।
তাদের বীরত্বে শেষ পর্যন্ত মঙ্গোলেরা টিকতে পারেনা। হারতে বসা এক যুদ্ধে এমন অভাবনীয় সাফল্যে সুলতান কায়কোবাদ উল্লসিত হয়ে আরতুগ্রুল গাজীকে আলিঙ্গন করে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। ঠিক এমন সময়েই সুলাইমান শাহ তার বাহিনী নিয়ে সেখানে আসেন। সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদ তাদের দুজনকেই এই পুরস্কার স্বরূপ পরিদেয় দান করেন। তিনি খুশি হয়ে কায়ি গোত্রের জন্য আঙ্গোরা(বর্তমান আংকারা) কারাকা দাগের জায়গা বরাদ্দ করেন এবং সুলাইমান খানকে তার বাহিনীর সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত করেন।
এখানে আলাউদ্দিন সালজুকীর তীক্ষ্ণবুদ্ধি ও দূরদর্শিতার কথা স্বীকার করতেই হবে যে, তিনি আরতুগ্রুলকে সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ এলাকাটি ঠিক করেন। কনিয়া সাম্রাজ্য প্রথমে বেশ বড় ছিল। কিন্তু রোমান আর মঙ্গোলদের চাপে পড়ে কনিয়ার একেবারে ভগ্নদশা হওয়ার উপক্রম হয়েছিল এবং আয়তন ক্রমশ হ্রাস পেতে পেতে তা একটি ক্ষুদ্র রাজ্যের আকার ধারণ করেছিল যার অস্তিত্ব যে কোন মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারত।
কারাকা দাগের অবস্থান ছিল একেবারে রোমান সীমান্তে। ১২৫১ সালে আরতুগ্রুল নাইসিয়ান শহর থেবাসিওন জয় করেন। এর নতুন নামকরণ করা হয় সাগুত এবং এটি তার সাময়িক রাজধানী হয়। তার এই কৃতিত্বপূর্ণ কাজের পুরস্কারস্বরুপ সুলতান আলাউদ্দিন সালজুকী আরতুগ্রুলকে আরও কিছু এলাকা ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে ১২৯৯ সালে তার সন্তান প্রথম উসমান কর্তৃক এখানেই অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসাবে গড়ে উঠে। আরতুগ্রুল আরও শক্তিশালী হয়ে উঠায় রোমানদের দিক থেকে আক্রমণের আশংকা লোপ পায়। কিছুদিন পরে পিতা সুলায়মান শাহ ফুরাত অতিক্রম কালে পানিতে ডুবে মারা যান।
অটোমান ঐতিহ্য অনুযায়ী পিতার পর তার যোগ্য সন্তানকেই গোত্রের দলপতি করা হত। সেই ঐতিহ্য অনুযায়ীই ১২৩০ সালে আরতুগ্রুল এর পিতা সুলাইমান শাহের পর তাকেই গোত্রের দলপতি করা হয়।
এদিকে আরতুগ্রুল নিজ এলাকা শাসন করে যাচ্ছিলেন এবং নিজের রাজ্যের পরিধি ক্রমাগত বৃদ্ধি করছিলেন। এভাবে আরতুগ্রুলের একটি উল্লেখযোগ্য রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ওদিকে মঙ্গোলদের ক্রমাগত আক্রমণ সেলজুক সুলতানকে ব্যতিব্যস্ত রাখে এবং শেষ অবধি ৬৪১ হিজরিতে মঙ্গোলরা কনিয়াকে একটি করদ রাজ্যে পরিণত করে। এতে অবশ্য আরতুগ্রুল কিছু হল না। কারণ তিনি ছিলেন মঙ্গোলদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। মঙ্গোলরা এশিয়া মাইনরের এই ছোট ছোট রাজ্যগুলোর ব্যাপারে কোনরূপ নাক না গলিয়ে তাদেরকে তাদের মত থাকতে দেয়। ৬৩৪ হিজরি (১২৩৬-৩৭ খ্রীঃ) আলাউদ্দিন কায়কোবাদ মারা গেলে তার পুত্র গিয়াসুদ্দীন কায়খসরু কনিয়ার সিংহাসনে আরোহণ করেন।
আরতুগ্রুলের বিবাহ হয় সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদা নোমানের কন্যা হালিমা খাতুনের সাথে। ৬৫৭ হিজরিতে আরতুগ্রুলের একটি পুত্র সন্তান হয় তার নাম রাখা হয় উসমান খান। উনারই নামানুসারে তুর্কি বাদশাদের উসমানীয় সুলতান বা অটোমান সুলতান বলা হয়ে থাকে। ১২৮৭ সালে আরতুগ্রুল গাজী মারা যায়। তখন উসমান খানের বয়স ছিল ত্রিশ বছর। তখন সেলজুক সুলতান, আরতগ্রুলের পর উসমান খানকেই তার স্থলাভিষিক্ত করেন।
উসমানীয় তথা অটোমান সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ নির্মাতা হিসাবে তার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও বীরত্ব-গাথা জীবনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। তাই তাকে এই সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ নির্মাতা হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়।
উপকারি লেখা হলে সবার সাথে শেয়ার করুন। এতোটুকুই আমাদের অনুপ্রেরণা। ভালো থাকবেন।